১। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষন কার্যক্রমঃ- বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক বৃত্তিমূলক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যেমন- টেইলারিং, এমব্রয়ডারী, ব্লক বাটিক ও ব্যাগ তৈরী। সেবা গ্রহনকারী ব্যাক্তি/সংস্থাঃ- দেশের দুঃস্থ দরিদ্র নারী। সেবার স্থানঃ- উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, মহিলা প্রশিক্ষন কেন্দ্র। সেবা প্রাপ্তির সময় সীমাঃ-৬ মাস ।সেবাদান কারী কতৃপক্ষঃ- উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
২। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীঃ- ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস কারী মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা সহ প্রশিক্ষন প্রদান ও আয় বর্ধক কর্মসূচীতে তাদের জড়িত করন। এই কার্যক্রমের অধীনে ভিজিডি কার্ডধারী
মহিলাদেরকে, ক) দুই বৎসর ধরে খাদ্য ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করাহয়। খ) আয় বর্ধক সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। গ) ভিজিডি চক্র শেষে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মহিলাদের ঋন সুবিধা প্রদান করা হয় দরিদ্র মার জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা কর্মসূচীর অধিনে গ্রামের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদেরকে মাসিক ৩৫০/= টাকা হারে দুই বছর মেয়াদে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়া সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করা এবং সচেতনতা ও আয় বর্ধক মূলক প্রশিক্ষন প্রদান করা। ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রমের আওতায় দুঃস্থ ও অসহায় প্রশিক্ষিত নারীদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋন প্রদান করা এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় ১০০০/=টাকা থেকে ১৫০০০/= টাকা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋন প্রদান করা হয়। ঋন গ্রহীতাদের মূল টাকার সংঙ্গে সুধূমাত্র ৫% হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয়।
৩। নরী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ঃ- নির্যাতিত মহিলা ও শিশুদের আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি স্থানিয় ভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন মূলক অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের ব্যবস্থা করে থাকে।
৪। সেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নিবন্ধন ঃ- উন্নয়ন কর্মসূচীকে আরও ব্যপৃত এবং মহিলা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমপ্রসারন করার লক্ষে সেচ্ছা সেবী মহিলা সংগঠন সমূহের নিবন্ধন প্রদান করা।
৫। বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদ (বামকপ) ঃ- মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কতৃক নিবন্ধন কৃত সক্রিয় মহিলা সংগঠন সমূহকে আবেদনের ভিত্তিতে বছরে একবার ৫০০০/= টাকা থেকে ২৫০০০/= টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। এ সকল সমিতির আয়বর্ধক কার্যক্রমের ধরন ও যোগ্যতা অনুসারে অনুদানের পরিমান নির্ধারিত হয়। উল্লেখ্য প্রতি বছর প্রতি জেলায় ২টি শ্রেষ্ঠ সমিতিকে ৪০,০০০/= (পচিশ হাজার) টাকা বিষেশ অনুদান প্রদান করা হয়।
৬। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জেন্ডার সমতা মূলক কার্যক্রমঃ- দেশের সকল জনগোষ্ঠীর নারী উন্নয়ন ও জেন্ডার সমতা আনয়নে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহন, যেমন জাগরনী পদযাত্রা, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, জন্ম নিয়ন্ত্রন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ নারী অধিকার রক্ষায় CEDAW সনদ বাস্তবায়ন সহ বিভিন্ন দিবস পালন করা হয়। এ ছাড়া মহিলা উন্নয়ন সমন্ময় সভা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা, নিয়মিত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও বিতরন করা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভার জন্য চাহিত তথ্যাদি প্রস্তুত ও বিতরন করা হয়ে থাকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS